ডেস্ক নিউজ: রাজধানীর কাকরাইলে মা-ছেলে খুনের ঘটনায় আটক মূল আসামি আল আমিন জনি খুনের দায় স্বীকার করেছে। সে আটক পারভিন আক্তার মুক্তার ভাই। বোনের তালাক ঠেকাতে মুক্তার স্বামী আব্দুল করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার কে খুন করে জনি। শনিবার (৪ নভেম্বর) ভোররাতে গোপালগঞ্জ থেকে র্যাবের হাতে আটকের পর হত্যার দায় স্বীকার করে জনি (৩৩)। বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকে এমন তথ্যই জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
আটক জনির বোন মুক্তা আব্দুল করিমের তৃতীয় স্ত্রী এবং হত্যার স্বীকার শামসুন্নাহার প্রথম করিমের প্রথম স্ত্রী। স্বীকারোক্তিতে জনি বলে, তার বোনের সাথে আব্দুল করিমের সম্পর্ক তালাকের দিকে মোড় নিলে, তার বোন আত্ম হত্যার চেষ্টা করে। সে কারণে ক্ষোভ থেকে সে আব্দুল করিমের প্রথম স্ত্রীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।
ঘটনার দিনের বর্ণনায় বলা হয়, ‘সে কলিংবেল চাপলে কাজের বুয়া দরজা খুলে দিয়ে রান্নাঘরে চলে যায়। তখন সে রান্নাঘরের দরজা লাগিয়ে দিয়ে প্রথমে চাকু দিয়ে শাওনকে আঘাত করে এবং তাকে চুপচাপ বসে থাকতে নির্দেশ দেয়। এরপর সে শামসুন্নাহারের ঘরে গিয়ে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। শাওন উঠে গিয়ে তার মাকে রক্ষার চেষ্টা চলালে তাকে আবার আঘাত করে আল আমিন।’
উল্লেখ, গত বুধবার (১ নভেম্বর) কাকরাইল ৭৯/১, মায়াকানন নামের এক বাসায় মা শামসুন্নাহার ও তার ছেলে সাজ্জাদুল করিম শাওনকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। এদিকে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের পরদিন বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে তার স্বামী আব্দুল করি ও করিমের ৩য় স্ত্রী শারমিন আক্তারকে আসামি করে রমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পড়ে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে।